আন্তর্জাতিক মানচিত্রে প্রভাব বিস্তারের নতুন কৌশল ভেবেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।গোটা বিশ্ব যখন রুটি পাচ্ছে না তখন ভারতীয় কৃষকেরা এগিয়ে আসছে তাদের জন্য।এবার ইউরোপ সফরে গিয়ে জার্মানিতে এই বিষয়ে আশ্বাসবাণী দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে গোটা বিশ্বে গমের সঙ্কট শুরু হয়েছে।এই সঙ্কট ভবিষ্যতে আরও বারতে পারে।বিশ্বে যে লড়াই শুরু হয়েছে তা কত দিন চলবে ও কবে ওই অঞ্চলে স্বাভাবিক পরিস্থিতি হবে তাঁর কোন নিশ্চয়তা নেই।জার্মানিতে একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন,বিশ্ব যখন গমের সঙ্কটে ভুগছে তখন ভারতীয় কৃষকরা এগিয়ে এসেছে বিশ্বকে খাওয়ানোর জন্য।মানবতা যখন সঙ্কটের মুখে তখন ভারত তাঁর সমাধান নিয়ে আসে।
রাজনৈতিক শিবিরের মতে,প্রতিষেধক-কূটনীতির পর এবার গম-কূটনীতিকে আন্তর্জাতিক মানচিত্রে প্রভাব বিস্তারের নতুন কৌশল হিসাবে ভেবেছেন প্রধানমন্ত্রী।কৃষ্ণ সাগর অঞ্চল আন্তর্জাতিক গম বানিজ্যের ১/৪ অংশ দখল করে থাকে।কিন্তু ইউক্রেনে হামলা হওয়ার ফলে গোটা বিশ্বে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে,সেখানে ঢুকতে চায়ছে ভারত।কিন্তু সে ক্ষেত্রে কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।রফতানি করার জন্য দরকার ঘরোয়া কৃষি উৎপাদন।এবার গ্রীষ্ম তারাতারি এসে যাওয়ায় কিছুটা মার খেয়েছে গম উতপাদনে।এবার গম উতপাদনের আসা ছিল ১১১০ লক্ষ টন।কিন্তু মনে করা হচ্ছে ৬০ লক্ষ টন মতো কম গম উৎপাদন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রায় জ্বলছে মার্চ মাস থেকেই।ফলে মার খেয়েছে ফলনে।তবে এর জন্য ঘরোয়া ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় খাদ্য দফতর।রেশন ও মিডডেমিলের জন্য মজুত করে বেশি থাকবে বলে জানানো হয়েছে।এখনি বাইরে রপফতানি করার বিষয়ে কোন জোর দেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে।এশিয়ার বিভিন্ন দেশ ছারাও এবার মিশর ও তুরস্কের মতো নতুন দেশ গম আমদানি করতে চেয়েছে।আর্জেন্টিনা গম জুলাই মাসে বাজারে বিপুল পরিমানে আসতে চলেছে বলে খবর।ভারত তাঁর আগেই বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তি সেরে ফেলতে চায়ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন