রাচি থেকে প্রায় ঘন্টা দেড়েকের দূরত্ব এর চাড়ীহোচাড় গ্রাম অনিতাদের একচলার ছোট্ট ঘর।বাবা দীর্ঘ দিন ধরে কিছু করেন না।এক থালা ফ্যান ভর্তি ভাতের মধ্যে শূধু নুন মিশিয়ে তিনবেলা খাওয়া।মাচ মাংস ডিম তো দুরের কথা,মাসের মধ্যে দুই বা তিন বার জোটে আলু চোখা।তাও তা এক বেলার বেশি না।অনুর্ধ মহিলা দলে নাম আসার আগে তাঁর ছিল এটাই খাবার তালিকা।জাতীয় দলের শিবির থেকে বাড়ি ফিরলে এখনও এর চেয়ে বেশি কিছু জোটে না।
বাবা দীর্ঘ দিন ধরে কিছু করেন না।সংসারের সমস্থ ভার ছিল মায়ের উপর।কিন্তু সমস্যা শুধু বাড়িতেই নয়,বাইরেও।মেয়েরা খালা ধুল করবে তা গ্রামের মানুষের পছন্দ নয়।কখনও মাঠে কাচের টুকরো ছরিয়ে দিত,কখনও আবার কাটা যুক্ত গাছের ডাল।প্রকাশ্যে দেওয়া হত তাঁকে হুমকিও।কারন মেয়ে হয়ে ফুট বল খেলা চলবে না।এই সব মেনে নিয়েছিল অনিতার বাবা ও মাও।
কিন্তু হাল ছাড়েনি অনিতার কোচ আনন্দ গোপ।শুরু করেন অর্থ জমানো।হাত পাতেন বন্ধুদের কাছে।২০১৩ সালে রাঁচি ফেরেন আনন্দ।কোচিংয়ে ডি লাইেসন্স পাশ করে চারিহোচার গ্রামেই শুরু করলেন প্রথম প্রসিক্ষন কেন্দ্র।তাঁর কাছেই অনুশীলন করেই উত্থান অনিতার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন