বেড়ালটির নাম অ্যানাস্টেসিয়া। বয়স ১৭ এক হিসাবে বুড়িই বলা চলে।তার একটাই দোষ নিজের পুরনো বাড়ি ছেরে আর কোথাও যাবে না।ক্রোয়েশিয়ায় পর্যটকদের পছন্দের গন্তব্য ডব্রোভানিক রাজ প্রাসাদ।সেই রাজ প্রাসাদই অ্যানাস্টেসিয়ার বাড়ি।বহু বার অনেক পর্যটক তাকে আশ্রয় দিতে চেয়েছেন।সঙ্গে করে তাকে নিয়েও গিয়েছেন।কিন্তু বিড়ালটি বার বারই তার পুরনো বাড়ির টানে ফিরে এসেছে রাজ প্রাসাদে।অ্যানাস্টেসিয়ার প্রাসাদ প্রেমে মুগ্ধ রক্ষীরা তাই শেষমেশ প্রাসাদের চিলেকোঠাতেই তার থাকার ব্যবস্থা করেছিল।একটি কার্ড বোর্ডের বাক্সে পছন্দের জায়গায় স্থায়ী ঘর পেয়েছিল বুড়ি বিড়াল।কিন্তু নারাজ ছিল প্রাসাদের ভিতরে থাকা মিউজিয়াম কর্তৃ পক্ষ।বিড়ালটিকে সরানোর নির্দেশ দিয়ে তারা জানিয়ে দেন,ঐতিহ্যবাহী এই প্রাসাদে এমন কিছু করা যাবে না যা প্রাসাদের স্বাভাবিক সৌন্দর্জ নস্ট করে।
ওই বিড়াল টিকে বাধ্য হয়ে সরিয়ে দিতে হত।কিন্তু শেষ মুহুর্তে তাকে বিপদ থেকে বাঁচাতে আসেন এক বেড়াল প্রেমি ব্যাক্তি।তিনি বিড়াল টিকে থাকার জন্য চিলে কোঠাই একটি ঘর বানায় বিড়ালের নামের ফলক দিয়ে।কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয় নি। মিউজিয়ানের কর্তৃ পক্ষ জানিয়ে দেয় এখানে বাড়ি বানানো বা কাউ কে আশ্রয় দেওয়ার জায়গা নয়।ফলে অ্যানাস্টেসিয়াকে তারিয়ে দেওয়া হয় প্রাসাদ থেকে।কিন্তু খবরটি জানার পরই হয়চই পরে যায় ওই রাজপ্রাসাদের পর্যটক ও স্থানিয় বাসিন্দাদের মধ্যে।রাজপ্রাসাদের কল্যানে বেড়াল টি অনেকেরই পরিচিত ছিল।তার আশ্রয় হারানোর খবর পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পরে সবাই।প্রায় ১২ হাজার মানুষ বেড়াল টিকে প্রাসাদেই রাখার আবেদন করে সই করেন।এই আবেদনে বলা হয় তারা ৭০টি বেড়াল পুস্তে বলেনি শুধু একটি বিড়াল কে আশ্রয় দিতে বলেছেন।বেড়ালটিকে নিয়ে মানুষের এই উৎসাহে অভিভুত হন মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও অ্যানাস্টেসিয়া তার বাড়ি ফিরে পায়নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন