কোভিডের তৃতীয় ঢেউতে শিশুরা সংক্রমিত হবে কিনা সে প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। আশঙ্কা যেমন আছে তেমনি আতঙ্কও বেড়েছে। বিশেষ করে কোভিডের অতি সংক্রামক ডেল্টা প্লাস প্রজাতি নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রককে। এমন পরিস্থিতিতে তাই আর বেশি দেরি করতে চায় না ভারত বায়োটেক। ১২ বছরের ওপরে কোভ্যাক্সিন টিকার ট্রায়াল চলছিলই। এবার ২ বছরের ওপরে শিশুদের শরীরেও টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে। তার জন্য নাম নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
পাটনা এইমসে ২ থেকে ৬ বছর বয়সী শিশুদের ওপর কোভ্যাক্সিন টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে। তার জন্য রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পাটনা এইমসের সুপার ডাঃ সিএম সিং বলেছেন, ২৮ মে থেকে শিশু ও কমবয়সীদের শরীরে দেশের তৈরি কোভ্যাক্সিন টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে। তিন ক্যাটেগরিতে ভাগ করে ট্রায়াল করা হবে। প্রথমটা ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী, দ্বিতীয় ধাপে ৬ থেকে ১২ বছর ও তৃতীয় ধাপে ২ থেকে ৬ বছর বয়সী শিশুদের ওপরে টিকার ট্রায়াল হবে।
এখনও অবধি পাটনা এইমসেই ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী ২৮ জন টিকার ডোজ পেয়েছে, ৬-১২ বছরের মধ্যে ২১ জনকে ডোজ দেওয়া হয়েছে। এবার ২ বছরের ওপর থেকে শিশুদের কোভ্যাক্সিন টিকার ডোজ দেওয়া হবে। প্রতিটি পর্যায়ে টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়ালের রিপোর্ট জমা করা হবে কেন্দ্রের ভ্যাকসিন রেগুলেটরি কমিটির কাছে। সেফটি ট্রায়ালের রিপোর্ট দেখে তবেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লে শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ বেশি ছড়াতে পারে বলে আগে থেকেই সতর্ক করা হচ্ছে। তাই খুব তাড়াতাড়ি শিশুদের টিকার ডোজ দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় প্যানেল। শিশু ও কমবয়সীদের শরীরে ভ্যাকসিনের পেডিয়াট্রিক ট্রায়াল করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে ভারত বায়োটেককে। সংস্থার প্রধান ডক্টর কৃষ্ণা এল্লা আগেই বলেছেন, টিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল শুরু হয়েছে। প্রতি পর্বের ট্রায়ালের পরে সেফটি ট্রায়ালের রিপোর্ট জমা করা হবে। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে টিকার সুরক্ষা ও কার্যকারিতা নিয়ে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল সবুজ সঙ্কেত দিলেই দেশের বাজারে শিশু ও কমবয়সীদের জন্য ভ্যাকসিনের ডোজ চলে আসবে। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই শিশুদের জন্য কোভ্যাক্সিন টিকা চলে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন