ভারতে অগ্নি প্রাইম ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ
সোমবার সকালে ওড়িশা উপকূল থেকে অগ্নি সিরিজের অত্যাধুনিক একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করল ভারত। ওই ক্ষেপণাস্ত্রের নাম অগ্নি প্রাইম। ডিআরডিও-র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সকাল ১০ টা ৫৫ মিনিটে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। একেবারে নিখুঁত উৎক্ষেপণ হয়েছে। যাকে বলে ‘টেক্সটবুক লঞ্চ’। ভুবনেশ্বর থেকে ১৫০ কিলোমিটার পূর্বে ডক্টর এ পি জে আবদুল কালাম আইল্যান্ড থেকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়।
অগ্নি প্রাইম ক্ষেপণাস্ত্র পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম। তার পাল্লা ১ হাজার থেকে ২ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। দু’দিন আগেই ওড়িশার চাঁদিপুর থেকে আর একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে ভারত। তার নাম ‘পিনাক’। একটি মাল্টি ব্যারেল রকেট লঞ্চার থেকে বিভিন্ন পাল্লার ২৫ টি পিনাক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল।
গত মার্চ মাসে আকাশ এন জি নামে আর একধরণের ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ করে ভারত। ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলিও ভূমি থেকে আকাশে ছোড়া যায়। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পে দেশীয় সংস্থার কাছেই এমন মিসাইল তৈরির বরাত দিয়েছিল কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা তথা ডিআরডিও। ভারত ডায়ানামিক্স ও ডিআরডিও-র তৈরি আকাশ মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে বড় সাফল্য এসেছে। জয়সলমীর জেলার পোখরানের ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জ থেকে তির বেগে ছুটে গিয়ে লক্ষ্যে আঘাত করেছে এই ক্ষেপণাস্ত্র। ডিআরডিও জানাচ্ছে, ৪০ কিলোমিটার পাল্লায় নিক্ষেপ করা হয়েছে এই এয়ার মিসাইলটিকে। প্রয়োজনে নতুন প্রজন্মের আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বাড়ানোও সম্ভব।
ডিআরডিও-র তত্ত্বাবধানে এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে ভারত ডায়ানামিক্স লিমিটেড। তার সঙ্গে সহযোগিতা করেছে ভারত ইলেকট্রনিক্স, টাটা পাওয়ার স্ট্র্যাটেজিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশন এবং লারসেন অ্যান্ড টার্বো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন